এম এস ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধিঃ পূর্ব ঘটনার জেরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ছাত্রলীগের এক কর্মীকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী। আহত ছাত্রলীগ কর্মী হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম সোহাগ। তাকে রামেক হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধা সাড়ে ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটরিয়ার সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে মতিহার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, রাবিতে চলচিত্র উৎসব চলার সময় গত প্রায় ১৫ দিন আগে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী রাহিনুল ইসলাম রিংকু একই বর্ষের তার বান্ধবীকে নিয়ে ক্যাম্পাসে ঘুরছিলেন। ওই দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সূবর্ণ জয়ন্তী টাওয়ারের সামনে দিয়ে যাবার পথে সোহাগ ও তার দুই বন্ধু তাদের উত্ত্যক্ত করে। এসময় তাদের মধ্যে হাতিহাতির ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে এ নিয়ে তাদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
মঙ্গলবার সন্ধায় ক্যাফেটরিয়ার সামনে দুই গ্রুপের মধ্যে সমঝোতা করতে সোহাগ ছাত্রলীগের আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক অনিক সাহা ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক রুবেলসহ ১০-১৫ জন ছাত্রলীগ কর্মীকে ডেকে নিয়ে আসেন।
কিন্তু রিংকু তাদের মাঝে সমঝোতা না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার সামনে নিয়ে এসে আগে থেকেই প্রস্তুত করে রাখা গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী নাহিদসহ কয়েকজনকে নিয়ে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে সোহাগকে বেদম মারধর করে। এতে সোহাগ গুরুতর আহত হন। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) পাঠান। বর্তমানে তিনি রামেকের ৮ নং ওয়ার্ডে ভর্তি আছে।
এ ঘটনায় আহত সোহাগের সহপাঠিরা জানান, আগের একটি ঘটনার সমঝোতা করতে রিংকুকে ডাকা হলে সে তার ১৫-২০ জন বন্ধুকে নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পরে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা সোহাগকে লোহার রড় দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এতে সোহাগ গুরুতর আহত হয়।
এ বিষয়ে রাহিনুল ইসলাম রিংকু বলেন, বেশ কিছুদিন আগে আমার বান্ধবীকে তারা উত্ত্যক্ত করে। সেসময় আমাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। আজ সমঝোতার জন্য এসে তারা আবারও সমস্যার সৃষ্টি করলে তাদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
রাজশাহী নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবীর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে মারামারির ঘটনায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শরিফ আহমেদ থানায় একটি জিডি করেছেন। ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান রাসেল, মোস্তাকিম বিল্লাহ ও ছাত্রলীগ কর্মী নাহিদ, রিংকু, এরশাদ, সুভাষ ও সজিবের নাম উল্লেখ করে আরও ৮জন অজ্ঞাতের বিরুদ্ধে এ জিডি করা হয়।
অগ্রদৃষ্টি.কম // এমএসআই